রাতের অন্ধকারে গরু চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় এলাকা

5th January 2021 12:24 pm বাঁকুড়া
রাতের অন্ধকারে গরু চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় এলাকা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   রাতের অন্ধকারে গ্রামে গরু চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হলো ।  গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত গরু মাফিয়াদের নিয়ে যখন তোলপাড় গোটা রাজ্য তখন রাতের অন্ধকারে গ্রামে গরু চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হল । ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার কোচডিহি পঞ্চায়েতের তিউড়া ও বুড়ি আঙ্গরি গ্রামে । স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায় , অসীম মন্ডল নামে এক ব্যক্তির দুটি গরু এবং ছিদাম মন্ডল নামে এক ব্যক্তির একটি মহিষ ও খুকুমণি হেমরম নামে একজনের দুটি বলদ গরু সহ মোট তিনজনের পাঁচটি গবাদিপশু চুরি হয়েছে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয় । স্থানীয় সূত্রে আরো জানতে পারা যায় , চোরের দল চারচাকা গাড়ি করে গবাদিপশু গুলিকে চুরি করে নিয়ে যায় ।  অসীম মন্ডল নামে এক গরুর মালিক বলেন , রাতের বেলায় কে বা কারা গরু চুরি করে নিয়ে গেছে আমরা বুঝতে পারিনি তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোন পাচার চক্র জড়িত রয়েছে বলে তিনি মনে করেন ।

সুকুমনি হেমরম নামে অপর এক গরুর মালিক বলেন , সকালে গবাদিপশু বের করতে গেলে দেখি গরু চুরি হয়ে গেছে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি । তবে তিনিও এই ঘটনার সঙ্গে কোনো পাচার চক্র জড়িত রয়েছে বলে মনে করেন । 

অলোক মন্ডল নামে এক গ্রামবাসী বলেন , এই ঘটনায় আমরা ব্যাপক আতঙ্কিত এর আগে কোনদিন এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি । রাতের অন্ধকারে গাড়ি নিয়ে এসে এইভাবে চুরির ঘটনা গ্রামে আগে কোনদিনও হয়নি । খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছায় সোনামুখী থানার পুলিশ । ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে তার তদন্ত শুরু করেছে সোনামুখী থানার প্রশাসনিক আধিকারিকরা ।তবে কি গরু চুরি বিষয়ে কোনো বড় মাফিয়া যুক্ত আছে কিনা সে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।